Wednesday, 22 January 2025

গল্পেরা

১.



জানুয়ারি প্রায় শেষেরদিকে , শীত যাবো যাবো করেও যাচ্ছে না। ঘড়ির কাটায় ৮ টা বেজে ৫৮ মিনিট। ধূসর সকালে,সূর্যের দেখা নেই। সল্টলেক এর পঁচা খাল টাও কুয়াশায় ঢেকে,এক অদ্ভুত মায়াবী আবেশ সৃষ্টি করেছে। আমি সল্টলেকে যাওয়ার ২০৬ ফুটব্রিজ এর ওপর থেকে একটা ছবি তুললাম, তার। ব্রিজ পেরিয়ে সল্টলেকে পৌঁছে হাঁটার গতি বাড়ালাম। এদিকটায় কেষ্টপুরের এর থেকে গাড়িঘোড়া কম, যানযট নেই তেমন। আজ নেতাজি সুভষচন্দ্র এর জন্মদিবস। রাস্তায় কোথাও কোথাও কচিকাঁচাদের জটলা, লাউডস্পিকারে তাদের অভিভাবকদের তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে আদেশ করা হচ্ছে।আমি পাশ কাটিয়ে চললাম ডান দিকের একটু নিরিবিলি রাস্তা ধরে । রাস্তার দুধারে দোতলা তিনতলা বাড়ি, তাতে লোক থাকে কিনা বোঝার উপায় নেই। দরজা জানালা বন্ধ সবসময়, উপরতলার বারান্দার বাইরের থেকে জামা কাপড় ঝুলতে দেখা যায় না, কেউ হয়তো কাপড় জামা কাচেন না। দুয়েকটা বাড়ীর সামনে পার্ক করা দামী গাড়ি,বাড়ীর ভেতরে থাকা লোকের অস্তিত্ব এর জানান দিচ্ছে। যেতে যেতে চোখে পড়ল সেরকমই একটা বাড়ীর দিকে। জঞ্জাল সংগ্রহ করার গাড়িটা দাঁড়িয়েছে এসে বাড়ীরটার দোরগোড়ায়। তার সাফাইওয়ালা এর,চিত্ত ব্যাকুল করা বাঁশির শব্দে, যিনি বেরিয়ে আসলেন, ভদ্রলোকের চেহারার মধ্যে আভিজাত্যের ছাপ। বয়স হবে ৬০ এর আশপাশে। গায়ে বাদামি নকশা করা শাল জড়ানো, বা হাতে ডাস্টবিন। আমি এই তুচ্ছ ঘটনা টা দেখে ভাবলাম, মানুষ যতই দম্ভ করুক, সময়বিশেষে নিজের নোংরা নিজেকেই পরিষ্কার করতে হয়। আবার হাটার গতি বাড়ালাম, স্টেপ কাউন্ট টার্গেট এ পৌঁছতে হবে যে।

No comments:

Post a Comment

গল্পেরা

১. জানুয়ারি প্রায় শেষেরদিকে , শীত যাবো যাবো করেও যাচ্ছে না। ঘড়ির কাটায় ৮ টা বেজে ৫৮ মিনিট। ধূসর সকালে,সূর্যের দেখা নেই। সল্টলেক এর পঁচা ...